Cryptocurrency কী? কেন এবং কিভাবে ব্যবহার করা হয়?

cryptocurrency,cryptocurrency news,bitcoin,cryptocurrency future,cryptocurrency market,bitcoin cryptocurrency,crypto,cryptocurrency explained,how to invest in cryptocurrency,make money trading cryptocurrency,cryptocurrency app,buy cryptocurrency,cryptocurrency ads,cryptocurrency act,crypto news,blockchain,cryptocurrency 2020,best cryptocurrency,cryptocurrency 2018,cryptocurrency taxes,cryptocurrency basics,cryptocurrency budget;

 Cryptocurrency :

মুলত crypocurrency এর অর্থ তার বানানের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। আপাতত দৃষ্টিতে দেখলেই বোঝা যায় এটি একটি Currency অর্থ্যাৎ মুদ্রা। আমাদের বাংলাদেশের মুদ্রাকে যেমন টাকা বলা হয়, ভারতের রুপি, যুক্তরাষ্ট্রে ডলার ঠিক তেমনি এক ধরনের মুদ্রার নাম হলো। Cryptocurrency। কিন্তু currency অর্থ মুদ্রা তা আমরা সবাই জানি কিন্তু দ্বিধাদ্বন্দটা প্রথম অংশটা অর্থ্যাৎ crypto নিয়ে। এটার অর্থ গুগলে সার্চ দিলে আসবে চোরা, গুপ্ত,অপ্রকাশ্য ইত্যাদি। কিন্তু গ্রহণযোগ্য হিসেবে অপ্রকাশ্যই ধরা যাক। কারণ ইংরেজি শব্দ সমূহের নির্দিষ্ট অর্থ খুজে বের করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য তার কারণ ইংরেজি শব্দগুলোর অর্থ নির্ভর করে বাক্যে ব্যবহারের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে ধরে নিলাম Cryptocurrency অর্থ হলো অপ্রকাশ্য মুদ্রা।

আসসালামু আলাইকুম।সম্পুর্ণ পোষ্ট জুড়ে সাথে আছি আমি এস আর সৌরভ। আজকের পোষ্টে আমি একটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো যেইটা অনলাইনে কাজ করে এমন মানুষের কাছে অনেক পরিচিত হলেও সাধারণ মানুষ যারা অনলাইনটাকে শুধু ফেসবুক আর ইউটিউবের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে তাদের জন্য একেবারেই নতুন। তো আজকে এমনই একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আমি যতটুকু জানি সেইটাই তুলে ধরার চেষ্টা করবো।যদি আগে থেকে অল্প ধারণা থেকে থাকে তবুও সাথেই থাকুন আশা করি সকল ধারণা পরিষ্কার করতে পারবো এবং যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অনেক কিছু জানতে পারবেন এই প্রত্যাশা নিয়ে শুরু করছি। তো চলুন শুরু করা যাক আজকের আলোচনার বিষয় তা হলো Cryptocurrency

এটাতো গেলো Cryptocurrency শব্দটার পরিচিতি, এখন আসি মূল কথায়। এটি হলো অন্য সাধারণ মুদ্রার মতোই তবে এর কোনো প্রকাশ মাধ্যম নেই। সম্পুর্ণ ডিজিটাল মাধ্যমে এটির আদান প্রদান হয়। এক কম্পিউটার থেকে আরেক কম্পিউটার অথবা এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে।আর টাকার কাজ কি তা আমরা জানি, এটিও তেমন টাকার মতো বিনিময় মাধ্যম হিসেবে কাজ করে তবে এর বাস্তবিক কোনো রূপ নেই। আদান প্রদানগুলো হয় সম্পুর্ণ ডিজিটাল মাধ্যমে।উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়ঃ আমাদের বিকাশ বা রকেট ইত্যাদি মোবাইল ব্যাংকিং এ আমরা টাকা জমা রাখি, সেগুলো আমরা দেখতে পারি, ব্যবহার করতে পারি আমাদের ইচ্ছানুযায়ী কিন্তু সেগুলো আমরা ধরে অথবা ছুয়ে দেখতে পারিনা। ঠিক এমনই হলো Cryptocurrency. তবে এটির অনেক বড় সুবিধা [বা অসুবিধা যেইটাই বলেন তা] হলোঃ আদান প্রদানকারীর কোনো তথ্য জমা থাকেনা। একারণেই বিশ্বব্যাপী এর ব্যবহার অনেক বেড়ে গেছে।

 Cryptocurrency এর প্রচলনঃ

এটির ব্যবহার ঠিক কবে শুরু হয়েছে তা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। কিন্তু ২০০৯ সালে ইউরোপ আমেরিকাতে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার আক্রান্ত হয় Ramsomware দ্বারা, এবং ব্যবহারকারীর সকল তথ্যকে আটকে রেখে হ্যাকাররা দাবী করেন কয়েকশ ডলার মূল্যের এক নতুন ধরনের মুদ্রা যার নাম হলো Bit coin.সেইটাই ছিলো পৃথিবী জুড়ে তোলপাড় করে আত্মপ্রকাশ Cryptocurrency এর। এরপর থেকেই বিশ্বব্যপী ছড়িয়ে পড়ে Cryptocurrency নামক নতুন এক অধ্যায়ের।

Cryptocurrency এর প্রকারভেদঃ

২০০৯ সালে বিটকয়েনের ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর গত এক দশকে তৈরি হয়েছে অসংখ্য cryptocurrency । মুলত বেশি প্রচলিত আছে এবং বর্তমান বাজার মূল্য বিবেচনা করে একটা সারসংক্ষেপ তুলে ধরলাম। এখানে উল্লেখ্য যে, বৈদেশিক মুদ্রা বিবেচনা করা হয় বলে এটির দাম মূহুর্তেই পরিবর্তিত হয় তাই গড় একটা হিসাব দেখানো হলোঃ

  • 1   Bitcoin ($7280)
  • 2.    Ethereum ($132)
  • 3.    XRP ($0.193304)
  • 4.    Tether($1)
  • 5.    Bitcoin Cash ($209)
  • 6.    Litecoin ($42.44)
  • 7    Binance Coin ($13.94)
  • 8   EOS ($2.62)
  • 9 Bitcoin SV ($96.34)
  •   Monero ($45.85)

ইত্যাদি।
তো মূলত বর্তমানে প্রচলিত এবং মূল্যের ভিত্তিতে ১০টির নাম লিখলাম। এছাড়াও অসংখ্য CryptoCurrency প্রচলিত আছে তা গুনে বা বলে শেষ করা যাবেনা।

Wallet:

এই ধরনের কয়েন যখন আছে তখন তা সংরক্ষন করার দরকার অবশ্যই নয়তো সম্পুর্ণ্টাই অনর্থক হয়ে যাবে। আর যেহেতু এই Cryptocurrency অনলাইনেই যত কারবার এবং বাস্তবিক কোনো রূপ সেই কারণে তা সংরক্ষনের জন্য যে অনলাইনে একটা যায়গা লাগবে তা বলা বাহুল্য।এই Cryptocurrency গুলা যেখানে সংরক্ষন করা হয় থাকে Wallet বলে। আর এই Wallet শব্দটার সাথে আমরা আগে থেকেই পরিচিত। সবার চোখেই মানিব্যাগের ছবি ফুটে উঠছে নিশ্চয়ই আর এইটার কাজটাও ঠিক মানিব্যাগের মতোই। এখানে আপনার Cryptocurrency গুলো জমা রাখতে পারবেন আবার প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতে পারবেন। Cryptocurrency যেমন অনেক ধরনের আছে তেমন তা সংরক্ষনের জন্যেও অনেক ধরনের Wallet আছে কিন্তু মজার বিষয় হলো আলাদা আলাদা Cryptocurrency এর জন্য আলাদা আলাদা Wallet তৈরির প্রয়োজন নেই। প্রায় সব Wallet এই জনপ্রিয় কয়েনগুলা সংরক্ষন করা যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্য Wallet খোলার দরকার পড়ে তবে মুলত জনপ্রিয় কিছু Wallet হলো
  • ·        Coinbase wallet
  • ·        My Ether Wallet
  • ·        Trust Wallet
  • ·        Imo Wallet
  • ·        Waves Wallet
ইত্যাদি।


Cryptocurrency এর ব্যবহারঃ

হ্যাকারদের লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে প্রকাশিত হওয়া এই পদ্ধতি এখন অনলাইন লেনদেনে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন লেনদেন, এয়ারড্রপ, অনলাইন আর্নিং এর ক্ষেত্রে এটির ব্যবহার দেখা যায়।

Cryptocurrency এর সুবিধা অসুবিধাঃ

সম্পূর্ন অনলাইনে হওয়ার কারণে এটির অনেক সুবিধা রয়েছে যেমনঃ
                          লেনদেনের দ্রুততম প্রক্রিয়া।
·        প্রত্যেক ব্যবহারকারী তার ডিজিটাল মুদ্রা মালিক। অন্যকেউ তার মালিকানা নিতে পারবে না।
·        একজন ব্যবহারকারী কয়েকটি একাউন্ট খুলতে পারেন। এসবের জন্য নাম, ঠিকানা বা ব্যক্তিগত তথ্যের প্রয়োজন হয় না।
·        ব্লকচেইনে জমা থাকা লেনদেনের তথ্য পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে দেখা যাওয়ায় দুর্ণীতির সুযোগ নেই।
·        এটি সম্পূর্ণ অফেরতযোগ্য। ভুল ঠিকানা থেকে আর ফেরত পাওয়া যায় না।

 কিন্তু এতে অনেক অসুবিধা ও রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো লেনদেনকারীর কোনো তথ্য জমা থাকেনা যার কারণে ধোঁকায় সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় আবার সন্ত্রাসী চক্রের ব্যবহার মাধ্যম হওয়ায় প্রতারিত হওয়ার পরেও পুলিশ বা অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুই করা থাকেনা তাই নিজ দায়িত্বে সব লেনদেন করতে হয়।
আবার অনেকে মনে হতে পারে সে তার টাকা যেখানে ইচ্ছা খরচ করবে তার যেনো কেউ না জানে বা তার জন্য যেনো কৈফিয়ত দিতে পারবেনা এমন মনোভাবধারী মানুষজনদের জন্য অনেক বেশি অনুকূলে তাই এটির সুবিধা অসুবিধা সম্পূর্ণ ব্যবহার ও সতর্কতার উপর নির্ভরযোগ্য

Cryptocurrency ব্যবহারের বৈধতাঃ


ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে এটি বৈধ হলেও বাংলাদেশে এখনো বৈধতা পায়নি। তাই যদি বাংলাদেশ-ভারতে এটি লেনদেন করে তবে তা আইনত দণ্ডনীয়। কয়েক বছর কারাদন্ডসহ কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে একারণে বাংলাদেশ-ভারতের মানুষ এটি থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করে এবং লেখালেখি হয়েছেও অনেক কম

তো আজ এ পর্যন্তই। এসএসসি পরীক্ষার আগে এইটাই আমার শেষ পোষ্ট। আর মাত্র ১ মাস বাকি আমার পরীক্ষার নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে কিছু তথ্য তুলে ধরলাম আপনাদের মাঝে। যদি আম্মার কোথাও ভুল হয়ে থাকে তবে কমেন্ট সেকশনে জানিয়ে দিবেন। আর আপনার কাছে যদি আরো ভালো কোনো তথ্য থাকে তাহলেও জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। যদি মনে হয় এই পোষ্টি পড়ে আপনার বন্ধুদের কোনো উপকারে আসবে তাহলে শেয়ার করতে পারেন।
দেখা হবে পরবর্তী পোষ্টে অন্য কোনো নতুন বিষয় নিয়ে।আগের পোষ্টগুলো যারা দেখেননি তারা নিচে পোষ্টগুলো দেখে আসতে পারেন। আর আমার জন্য দোয়া করবেন ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ ।                                                                      Changing for the best


Comments